ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ হলি আর্টিজান মামলার রায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা মামলার রায় দেবেন আদালত। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে গত সোমবার দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। নারকীয় হত্যাকা-ের অভিযুক্তরা হলেন— জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এদের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি সেলে রাখা হয়েছিল। এছাড়া এই হত্যাকা-ে জড়িত আরও ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়। ফলে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। আর হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত পাঁচ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এদিকে আজকের এই রায়কে ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার আদালতপাড়া পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম ও কৃষ্ণ পদ রায়। পরিদর্শন শেষে তারা আদালতপাড়ার বিশেষ নিরাপত্তায় লালবাগ ডিভিশন ও আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। আদালতের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হলি আর্টিজান মামলার রায় উপলক্ষে ডিএমপির দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আদালত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা বিশেষ নিরাপত্তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও হামলার কোনো প্রকার আশঙ্কা নেই, তবে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ওসি মঈনুল ইসলাম জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এই হলি আর্টিজান মামলা দায়েরের তিন বছর চার মাস পর আজ দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এজন্য হাজতখানা থেকে এজলাসে আসামিদের আনা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে বলে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা আশা করছেন। এই মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সবাই কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, যাদের চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল না। যারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। আর মামলার সাক্ষীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সমাধান করা হয়নি। তবে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, একজন সার্ক্ষীর সাক্ষ্যকে অন্য সাক্ষী সমর্থন করে সাক্ষী দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ও জঘন্নতম এ নারকীয় জঙ্গি হামলা মামলার রায়ের দিন গত ১৭ নভেম্বর আদালত নির্ধারণ করেন। ওইদিন আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন ও শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
আর এই নারকীয় হত্যাকা-ের বিচারের রায়কে সামনে রেখে দেশের অপরাধ বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ বলছেন, জঙ্গিরা এ ধরনের বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বেই বিভিন্ন সময়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশেও তারা শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করতে পারে। এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জঙ্গিরা প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে তাদের নেতাদের ছিনিয়ে নিয়েছিল।
সরকারপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এই হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা ২০১৬ সালের ১ জুলাই মধ্য রাতে ঘটে। একই দিন গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২৮১/১৮ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে মোট আটজনকে অভিযুক্ত করেন। তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। আর দুজনকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। এরপর আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাছাড়া, মামলায় মোট ২১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর আটজন আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন। আটজন আসামির যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবীরা। এরপর ফের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি খ-ন করেন। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। রায়ের দিন ধার্য করার আগে গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়। ওইদিনই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শুরু করেন। যুক্তি উপস্থাপন শুনানি গত ১৭ নভেম্বর শেষ হয়। আর ওইদিন সকালেই কারাগার থেকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আট আসামিকে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ আগস্ট এই আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ২৬ নভেম্বর আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রের ২১ জন আসামির মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে মারা যান। পরে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে এবং হলি আর্টিজানের ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজ হলি আর্টিজান মামলার রায়

আপলোড টাইম : ১১:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা মামলার রায় দেবেন আদালত। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে গত সোমবার দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। নারকীয় হত্যাকা-ের অভিযুক্তরা হলেন— জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এদের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি সেলে রাখা হয়েছিল। এছাড়া এই হত্যাকা-ে জড়িত আরও ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়। ফলে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। আর হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত পাঁচ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এদিকে আজকের এই রায়কে ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার আদালতপাড়া পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম ও কৃষ্ণ পদ রায়। পরিদর্শন শেষে তারা আদালতপাড়ার বিশেষ নিরাপত্তায় লালবাগ ডিভিশন ও আদালতের ডিসি প্রসিকিউশনকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। আদালতের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হলি আর্টিজান মামলার রায় উপলক্ষে ডিএমপির দুই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আদালত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা বিশেষ নিরাপত্তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও হামলার কোনো প্রকার আশঙ্কা নেই, তবে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
ঢাকা মহানগর আদালতের হাজতখানার ওসি মঈনুল ইসলাম জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এই হলি আর্টিজান মামলা দায়েরের তিন বছর চার মাস পর আজ দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এজন্য হাজতখানা থেকে এজলাসে আসামিদের আনা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে বলে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা আশা করছেন। এই মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের সবাই কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, যাদের চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা এই ঘটনায় জড়িত ছিল না। যারা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। আর মামলার সাক্ষীদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সমাধান করা হয়নি। তবে সরকারপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, একজন সার্ক্ষীর সাক্ষ্যকে অন্য সাক্ষী সমর্থন করে সাক্ষী দিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ও জঘন্নতম এ নারকীয় জঙ্গি হামলা মামলার রায়ের দিন গত ১৭ নভেম্বর আদালত নির্ধারণ করেন। ওইদিন আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন ও শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন।
আর এই নারকীয় হত্যাকা-ের বিচারের রায়কে সামনে রেখে দেশের অপরাধ বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকগণ বলছেন, জঙ্গিরা এ ধরনের বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বেই বিভিন্ন সময়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশেও তারা শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করতে পারে। এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জঙ্গিরা প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে তাদের নেতাদের ছিনিয়ে নিয়েছিল।
সরকারপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এই হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা ২০১৬ সালের ১ জুলাই মধ্য রাতে ঘটে। একই দিন গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২৮১/১৮ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে মোট আটজনকে অভিযুক্ত করেন। তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। আর দুজনকে পলাতক দেখানো হয়েছিল। এরপর আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাছাড়া, মামলায় মোট ২১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর আটজন আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন। আটজন আসামির যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবীরা। এরপর ফের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি খ-ন করেন। এরপর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। রায়ের দিন ধার্য করার আগে গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়। ওইদিনই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শুরু করেন। যুক্তি উপস্থাপন শুনানি গত ১৭ নভেম্বর শেষ হয়। আর ওইদিন সকালেই কারাগার থেকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার আট আসামিকে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ আগস্ট এই আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ২৬ নভেম্বর আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রের ২১ জন আসামির মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে মারা যান। পরে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে এবং হলি আর্টিজানের ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।