ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ রায় ঘোষণা : রাজধানীতে ১২ হাজার পুলিশসহ সারাদেশে শতাধিক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিএনপি : কৌশলে রাজপথে থাকবে আ.লীগ : উদ্বেগ উৎকণ্ঠা
কোনো দুর্নীতি করিনি ন্যায় বিচার হলে খালাস পাব : সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান (পলাতক)সহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদ– দাবি করেছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান মামলাটিকে সারবত্তাহীন উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার খালাস চান।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় প্রদানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানবাহনগুলোতে দিনব্যাপী তল্লাশি চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সন্দেহভাজন হিসেবে সহ¯্রাধিক গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসিক হোটেলগুলোতে ইতোমধ্যে পুলিশ গিয়ে সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে না রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু ব্যক্তিগত চিকিৎসা, নিয়োগ পরীক্ষা ও সরকারি কোনো কাজ ছাড়া কেউ আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবে না।
সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি বুধবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২০ প্লাটুন ও দেশের গুরত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোতে আরো শতাধিক প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।
সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাজধানীতে ৪৯টি থানার কর্তব্যরত সকল পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ও ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে আনুমানিক ১২ হাজার পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সারাদেশে র‌্যাবের ১৪টি ব্যাটালিয়ন ৬ হাজার সদস্যকে যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত আছি উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি, ন্যায়বিচার হলে বেকসুর খালাস পাব। গতকাল বুধবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করিনি। দুর্নীতি করিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সঙ্গে কোনোভাবেই আমি জড়িত না। এর কোনো টাকা সরকারি না। এক টাকাও তছরুপ হয়নি। বরং সুদে আসলে সেই টাকা তিন গুণ হয়েছে।’ বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘ন্যায়বিচার হলে বৃহস্পতিবার আমার কিছু হবে না। বেকসুর খালাস পাব। বরং যারা মামলা করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। আর শাসকমহলকে তুষ্ট করার জন্য রায় হলে ন্যায়বিচার পাব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত। জনগণ আমার সঙ্গে আছে। এ সরকার খালি মাঠে গোল দেওয়ার জন্য এসব করছে। তাদের খায়েশ পূরণ হবে না।’
এদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশে রাজপথে শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারা বিভিন্ন কৌশলে এ অবস্থান নিশ্চিত করবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কৌশলেরও পরিবর্তন ঘটবে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকেই তাকে অনুসরণ করবেন নেতাকর্মীরা। এসময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়িবহরে অবস্থান করবেন। তবে মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। তারা জানান, রায় ঘোষণার পর একদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর মনোভাব ও অন্যদিকে দলের নেতাকর্মীদের আবেগ- এই পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। তাই দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, আজকের কর্মসূচি সফল করার জন্য মহিলা দলকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নেতারা যেতে না পারলে ব্যাপকসংখ্যক নারী নেত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছেন দায়িত্বশীলরা। এ জন্য মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর ও থানাভিত্তিক কমিটিগুলোকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
অরপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেবে না। তবে ‘প্রয়োজনে পুলিশকে’ সহযোগিতা করার কথা বলেছে দলটি। কোনো কর্মসূচি থাকবে না বললেও কার্যত ঢাকাসহ সারা দেশ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। এর জন্য দলের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া বড় জমায়েত রেখে আদালতে রায় শুনতে যাবেন এ বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থাকবে সতর্ক অবস্থানে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক ও সজাগ থাকবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ পুলিশকে সহায়তা করবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজ রায় ঘোষণা : রাজধানীতে ১২ হাজার পুলিশসহ সারাদেশে শতাধিক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

আপলোড টাইম : ১১:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বিএনপি : কৌশলে রাজপথে থাকবে আ.লীগ : উদ্বেগ উৎকণ্ঠা
কোনো দুর্নীতি করিনি ন্যায় বিচার হলে খালাস পাব : সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান (পলাতক)সহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে প্রধান কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদ– দাবি করেছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান মামলাটিকে সারবত্তাহীন উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার খালাস চান।
এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় প্রদানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানবাহনগুলোতে দিনব্যাপী তল্লাশি চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সন্দেহভাজন হিসেবে সহ¯্রাধিক গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসিক হোটেলগুলোতে ইতোমধ্যে পুলিশ গিয়ে সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তিকে না রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু ব্যক্তিগত চিকিৎসা, নিয়োগ পরীক্ষা ও সরকারি কোনো কাজ ছাড়া কেউ আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবে না।
সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি বুধবার সন্ধ্যা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২০ প্লাটুন ও দেশের গুরত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোতে আরো শতাধিক প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে।
সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাজধানীতে ৪৯টি থানার কর্তব্যরত সকল পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ও ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে আনুমানিক ১২ হাজার পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সারাদেশে র‌্যাবের ১৪টি ব্যাটালিয়ন ৬ হাজার সদস্যকে যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত আছি উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি, ন্যায়বিচার হলে বেকসুর খালাস পাব। গতকাল বুধবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করিনি। দুর্নীতি করিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সঙ্গে কোনোভাবেই আমি জড়িত না। এর কোনো টাকা সরকারি না। এক টাকাও তছরুপ হয়নি। বরং সুদে আসলে সেই টাকা তিন গুণ হয়েছে।’ বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘ন্যায়বিচার হলে বৃহস্পতিবার আমার কিছু হবে না। বেকসুর খালাস পাব। বরং যারা মামলা করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। আর শাসকমহলকে তুষ্ট করার জন্য রায় হলে ন্যায়বিচার পাব না।’ তিনি বলেন, ‘আমি যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত। জনগণ আমার সঙ্গে আছে। এ সরকার খালি মাঠে গোল দেওয়ার জন্য এসব করছে। তাদের খায়েশ পূরণ হবে না।’
এদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশে রাজপথে শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারা বিভিন্ন কৌশলে এ অবস্থান নিশ্চিত করবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কৌশলেরও পরিবর্তন ঘটবে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকেই তাকে অনুসরণ করবেন নেতাকর্মীরা। এসময় তারা শান্তিপূর্ণভাবে গাড়িবহরে অবস্থান করবেন। তবে মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। তারা জানান, রায় ঘোষণার পর একদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর মনোভাব ও অন্যদিকে দলের নেতাকর্মীদের আবেগ- এই পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। তাই দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, আজকের কর্মসূচি সফল করার জন্য মহিলা দলকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নেতারা যেতে না পারলে ব্যাপকসংখ্যক নারী নেত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছেন দায়িত্বশীলরা। এ জন্য মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিশেষ বার্তাও দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর ও থানাভিত্তিক কমিটিগুলোকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।
অরপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কোনো কর্মসূচি দেবে না। তবে ‘প্রয়োজনে পুলিশকে’ সহযোগিতা করার কথা বলেছে দলটি। কোনো কর্মসূচি থাকবে না বললেও কার্যত ঢাকাসহ সারা দেশ থাকবে আওয়ামী লীগের দখলে। এর জন্য দলের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া বড় জমায়েত রেখে আদালতে রায় শুনতে যাবেন এ বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও থাকবে সতর্ক অবস্থানে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক ও সজাগ থাকবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ পুলিশকে সহায়তা করবে।’