ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগেরদিন থেকেই টিকিট সঙ্কট : অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল
ফাইনাল যাত্রায় আজ চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে ২৮ থেকে ৩০ বছর আগে সর্বশেষ জাকজমক আয়োজনে ফুটবল খেলেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ। তারপর বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় খেলার সুযোগ হয়েছে জেলার কৃতি ফুটবলারদের। এরপর অনেকে অবসর নিয়েছেন -তো অনেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। তবে নিজ জেলার মাটিতে এবারই প্রথম আঞ্চলিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে খেলার সুযোগ হয়েছে তাদের। চলমান জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিক দল হিসেবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে পর পর দু’দফা জয় নিয়ে সেমিফাইনালে খেলতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ। এবার ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ রবিবার সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে লড়তে হবে ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশের সাথে। পূর্বের ন্যায় এ ম্যাচে সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রাখতে পারলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিকদের। প্রতিকূল আবহাওয়া আর দর্শকদের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ম্যাচটি বিকাল ৩টা ১০মিনিটে শুরু হলেও স্টেডিয়ামের সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে দুপুর ২টা ৩০মিনিটেই।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ অর্থ্যাৎ উদ্বোধনী খেলায় প্রতিবেশী জেলা মেহেরপুর একাদশকে ২ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয় নিয়ে এ টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করে স্বাগতিক চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী টাঙ্গাইল জেলা ফুটবল একাদশকে ১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী ম্যাচ এবং প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিতে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম হয় এ দু’দিনই। উদ্বোধনী ম্যাচে আগত ১৫ হাজারেরও বেশি দর্শকের চাপ সামলানো গেলেও প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টাঙ্গাইলের বিপক্ষে চুয়াডাঙ্গার ম্যাচটিতে ৩০ হাজারেরও বেশি দর্শক সমাগম হয়। এরমধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার দর্শক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে গ্যালারী ছেড়ে মাঠে নেমে আসে। ফলে অনেকটা ঝুকি নিয়েই ম্যাচ পরিচালনা করতে হয় রেফারীকে। পূর্বের এ সমস্ত রেকর্ড আর ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে এবার আয়োজকরাও শক্ত-পোক্ত অবস্থান নিয়েছেন। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি না করা, পাস/কার্ড ছাড়া ভিআইপি গ্যালারীতে প্রবেশ না করা, স্টেডিয়ামে দর্শকদের অতিরিক্ত আনাগোনা বন্ধে খেলার আগেরদিন টিকিট বিক্রি ও ডিস ক্যাবল/ফিডার লাইনে খেলা দেখানোর সিদ্ধান্ত অন্যতম। এদিকে আজকের ম্যাচের ৬ হাজারের মত টিকিট গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিক্রি শুরু হয়। দুপুরের আগেই অধিকাংশ টিকিট এবং বিকেলে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায় কাউন্টারগুলোতে। ৩০ টাকা মূল্যের টিকিটগুলো দর্শকদের কাছে ছিল সামাণ্য ব্যাপার। তাদের কাছে মাঠে বসে খেলা দেখা আর নিজ জেলার দলকে সমর্থন জানানোই বড় ব্যাপার। সবমিলিয়ে আজকের ম্যাচটি টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট, একই সাথে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করছেন বিশিষ্ট জনেরা। কারণ জয়-পরাজয় নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে কিছু উশৃঙ্খল দর্শক মুখিয়ে থাকে। তাদেরকে খেলোয়াড়ী মনোভব নিয়ে খেলা দেখার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। সুষ্ঠু, সুন্দর ও মানসম্মত পরিবেশে আজকের ম্যাচটি পরিচালনা করতে ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও আয়োজক কমিটি। নান্দনিক এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা করছে দৈনিক সময়ের সমীকরণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আগেরদিন থেকেই টিকিট সঙ্কট : অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ১০:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল
ফাইনাল যাত্রায় আজ চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে ২৮ থেকে ৩০ বছর আগে সর্বশেষ জাকজমক আয়োজনে ফুটবল খেলেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ। তারপর বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় খেলার সুযোগ হয়েছে জেলার কৃতি ফুটবলারদের। এরপর অনেকে অবসর নিয়েছেন -তো অনেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন। তবে নিজ জেলার মাটিতে এবারই প্রথম আঞ্চলিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে খেলার সুযোগ হয়েছে তাদের। চলমান জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিক দল হিসেবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে পর পর দু’দফা জয় নিয়ে সেমিফাইনালে খেলতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ। এবার ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ রবিবার সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে লড়তে হবে ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশের সাথে। পূর্বের ন্যায় এ ম্যাচে সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রাখতে পারলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিকদের। প্রতিকূল আবহাওয়া আর দর্শকদের সীমাহীন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ম্যাচটি বিকাল ৩টা ১০মিনিটে শুরু হলেও স্টেডিয়ামের সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে দুপুর ২টা ৩০মিনিটেই।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ অর্থ্যাৎ উদ্বোধনী খেলায় প্রতিবেশী জেলা মেহেরপুর একাদশকে ২ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয় নিয়ে এ টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করে স্বাগতিক চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশ। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী টাঙ্গাইল জেলা ফুটবল একাদশকে ১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী ম্যাচ এবং প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে চুয়াডাঙ্গা জেলা একাদশকে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিতে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম হয় এ দু’দিনই। উদ্বোধনী ম্যাচে আগত ১৫ হাজারেরও বেশি দর্শকের চাপ সামলানো গেলেও প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টাঙ্গাইলের বিপক্ষে চুয়াডাঙ্গার ম্যাচটিতে ৩০ হাজারেরও বেশি দর্শক সমাগম হয়। এরমধ্যে ৪ থেকে ৫ হাজার দর্শক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে গ্যালারী ছেড়ে মাঠে নেমে আসে। ফলে অনেকটা ঝুকি নিয়েই ম্যাচ পরিচালনা করতে হয় রেফারীকে। পূর্বের এ সমস্ত রেকর্ড আর ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে এবার আয়োজকরাও শক্ত-পোক্ত অবস্থান নিয়েছেন। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি না করা, পাস/কার্ড ছাড়া ভিআইপি গ্যালারীতে প্রবেশ না করা, স্টেডিয়ামে দর্শকদের অতিরিক্ত আনাগোনা বন্ধে খেলার আগেরদিন টিকিট বিক্রি ও ডিস ক্যাবল/ফিডার লাইনে খেলা দেখানোর সিদ্ধান্ত অন্যতম। এদিকে আজকের ম্যাচের ৬ হাজারের মত টিকিট গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিক্রি শুরু হয়। দুপুরের আগেই অধিকাংশ টিকিট এবং বিকেলে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায় কাউন্টারগুলোতে। ৩০ টাকা মূল্যের টিকিটগুলো দর্শকদের কাছে ছিল সামাণ্য ব্যাপার। তাদের কাছে মাঠে বসে খেলা দেখা আর নিজ জেলার দলকে সমর্থন জানানোই বড় ব্যাপার। সবমিলিয়ে আজকের ম্যাচটি টুর্নামেন্টের টার্নিং পয়েন্ট, একই সাথে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করছেন বিশিষ্ট জনেরা। কারণ জয়-পরাজয় নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে কিছু উশৃঙ্খল দর্শক মুখিয়ে থাকে। তাদেরকে খেলোয়াড়ী মনোভব নিয়ে খেলা দেখার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। সুষ্ঠু, সুন্দর ও মানসম্মত পরিবেশে আজকের ম্যাচটি পরিচালনা করতে ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও আয়োজক কমিটি। নান্দনিক এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা করছে দৈনিক সময়ের সমীকরণ।