ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আগুনের সমনের থেকি উঠলি আর বাঁচার জো থাকে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের অতিদরিদ্র, দিনমজুর, শীতার্ত মানুষের মাঝে নিজ হাতে কম্বল বিতরণ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে শীতে কাতর মানুষের শরীরে একটি করে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি।
শীতার্ত বৃদ্ধা সমিরন বিবি গতবছর একটি কম্বল পেয়েছিলেন। এবার পেলেন আরও একটি নতুন। বললেন, ‘আগের বারেরটার থি (থেকে) এইডে বেশি মানান। মানষির দরদ এখনও আচে। না হলি এই শীতি আমার দুয়ারে কেনে আসবে ডিসি সাহেব।’
প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের অতিদরিদ্র-অস্বচ্ছ্বল মানুষের শীত নিবারণের সর্বোত্তম উপায় আগুন পোহানো বা আগুন জ্বালিয়ে তার কাছাকাছি বসে থাকা। আকস্মিক সেখানেও হাজির জেলা প্রশাসক। তীব্র এই শীতের কষ্ট লাঘব করতে সকলকে একটি করে কম্বল উপহার দিলেন তিনি। বেজায় খুশি অলি মিয়া জানালেন, ‘আগুনের সমনের (সামনে) থেকি (থেকে) উঠলি আর বাঁচার জো (উপায়) থাকে না। ঘরে যাতি (যেতে) ভয় করে। এই কম্বল পায়ে (পেয়ে) যে কী উপকার হলো বুলে (বলে) বুজাতি (বোঝাতে) পারবো না।’
হানুরবাড়াদি গ্রাম থেকে ফেরার পথে শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বরে ছিন্নমূল মানুষ, বেশ কিছু মার্কেটের নৈশ প্রহরী, রিক্সা-ভ্যান চালক, চা দোকানী ও হোটেল কর্মীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ, সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন, খাইরুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আগুনের সমনের থেকি উঠলি আর বাঁচার জো থাকে না

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুরবাড়াদি গ্রামের অতিদরিদ্র, দিনমজুর, শীতার্ত মানুষের মাঝে নিজ হাতে কম্বল বিতরণ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে শীতে কাতর মানুষের শরীরে একটি করে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি।
শীতার্ত বৃদ্ধা সমিরন বিবি গতবছর একটি কম্বল পেয়েছিলেন। এবার পেলেন আরও একটি নতুন। বললেন, ‘আগের বারেরটার থি (থেকে) এইডে বেশি মানান। মানষির দরদ এখনও আচে। না হলি এই শীতি আমার দুয়ারে কেনে আসবে ডিসি সাহেব।’
প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের অতিদরিদ্র-অস্বচ্ছ্বল মানুষের শীত নিবারণের সর্বোত্তম উপায় আগুন পোহানো বা আগুন জ্বালিয়ে তার কাছাকাছি বসে থাকা। আকস্মিক সেখানেও হাজির জেলা প্রশাসক। তীব্র এই শীতের কষ্ট লাঘব করতে সকলকে একটি করে কম্বল উপহার দিলেন তিনি। বেজায় খুশি অলি মিয়া জানালেন, ‘আগুনের সমনের (সামনে) থেকি (থেকে) উঠলি আর বাঁচার জো (উপায়) থাকে না। ঘরে যাতি (যেতে) ভয় করে। এই কম্বল পায়ে (পেয়ে) যে কী উপকার হলো বুলে (বলে) বুজাতি (বোঝাতে) পারবো না।’
হানুরবাড়াদি গ্রাম থেকে ফেরার পথে শহরের শহীদ হাসান চত্ত্বরে ছিন্নমূল মানুষ, বেশ কিছু মার্কেটের নৈশ প্রহরী, রিক্সা-ভ্যান চালক, চা দোকানী ও হোটেল কর্মীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ, সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন, খাইরুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।