ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আখেরি মোনাজাত কাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়
সমীকরণ প্রতিবেদন:
অনুকূল আবহাওয়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ঈমান, আমল ও আখলাক, দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে তাবলীগী বুর্জুগ, ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম ও পাকিস্থানের মাওলানা খোরশেদ আলমের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলমি সূরা তত্বাবধানে প্রথম পর্ব। রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম জুমার জামাত। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং অনেকে পায়ে হেঁটে শরীক হন এই বৃহত্তম জুমার জামাতে। বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধিসহ লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে অসীম, অনন্ত ও প্রেমময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ইবাদত বন্দেগি আর কোরআন হাদিসের আলোচনায় বিশ্ব ইজতেমার বিশাল প্যান্ডেলে এখন পবিত্র ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী রোববার দুপুরের আগে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় মহা-সমাবেশের প্রথম পর্ব শেষ হবে। গতকাল সকাল থেকেই সর্বস্তরের মুসলমানরা জুমার জামাতে শামিল হওয়ার জন্য টুপি, পাঞ্জাবী পরে জায়নামাজ হাতে ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। দেশ বিদেশের মুসল্লির সাথে একই জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে বেশি সাওয়াব হাসিলের উদ্দেশে সকলের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাকুলতা। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই মুসল্লিদের ঢল আঁছড়ে পড়ে তুরাগের তীরের ইজতেমা ময়দানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের সমাবেশ ঘটে জুমার জামাতে। টঙ্গী, উত্তরা, কামারপাড়া, মিরপুর, আব্দুল্লাহপুরসহ আশপাশের এলাকার মসজিদে আজকের জুমার জামাতে মুসল্লি সংখ্যা ছিল অপ্রতুল। ইজতেমা মাঠে জুমার জামাত সুবিশাল প্যান্ডেলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিস্তৃতি লাভ করে চার পুরো টঙ্গী নগরীতে। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লিদের টঙ্গী মুখি স্রোত অব্যাহত ছিল। বহুল কাঙ্খিত আখেরী মোনাজাত পর্যন্ত এ স্রোত আরো প্রবল হবে। দুপুর ১২টার দিকে মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া জুমার জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের সূরা সদস্য, শীর্ষ মুরুব্বি, কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের আহমদ। জুমা নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা শেখ ইউনুস, বাদ আছর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা এহসান ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট। জুমা নামাজে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড., মো. আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জ ডি আই জি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেকেই অংশ নেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আখেরি মোনাজাত কাল

আপলোড টাইম : ১০:১৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়
সমীকরণ প্রতিবেদন:
অনুকূল আবহাওয়া, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ঈমান, আমল ও আখলাক, দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে তাবলীগী বুর্জুগ, ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম ও পাকিস্থানের মাওলানা খোরশেদ আলমের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলমি সূরা তত্বাবধানে প্রথম পর্ব। রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম জুমার জামাত। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং অনেকে পায়ে হেঁটে শরীক হন এই বৃহত্তম জুমার জামাতে। বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধিসহ লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে অসীম, অনন্ত ও প্রেমময় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ইবাদত বন্দেগি আর কোরআন হাদিসের আলোচনায় বিশ্ব ইজতেমার বিশাল প্যান্ডেলে এখন পবিত্র ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করছে। আগামী রোববার দুপুরের আগে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় মহা-সমাবেশের প্রথম পর্ব শেষ হবে। গতকাল সকাল থেকেই সর্বস্তরের মুসলমানরা জুমার জামাতে শামিল হওয়ার জন্য টুপি, পাঞ্জাবী পরে জায়নামাজ হাতে ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। দেশ বিদেশের মুসল্লির সাথে একই জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে বেশি সাওয়াব হাসিলের উদ্দেশে সকলের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাকুলতা। যতই সময় গড়াতে থাকে ততই মুসল্লিদের ঢল আঁছড়ে পড়ে তুরাগের তীরের ইজতেমা ময়দানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের সমাবেশ ঘটে জুমার জামাতে। টঙ্গী, উত্তরা, কামারপাড়া, মিরপুর, আব্দুল্লাহপুরসহ আশপাশের এলাকার মসজিদে আজকের জুমার জামাতে মুসল্লি সংখ্যা ছিল অপ্রতুল। ইজতেমা মাঠে জুমার জামাত সুবিশাল প্যান্ডেলের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিস্তৃতি লাভ করে চার পুরো টঙ্গী নগরীতে। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লিদের টঙ্গী মুখি স্রোত অব্যাহত ছিল। বহুল কাঙ্খিত আখেরী মোনাজাত পর্যন্ত এ স্রোত আরো প্রবল হবে। দুপুর ১২টার দিকে মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন পাটি, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া জুমার জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের সূরা সদস্য, শীর্ষ মুরুব্বি, কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ যোবায়ের আহমদ। জুমা নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা শেখ ইউনুস, বাদ আছর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা এহসান ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট। জুমা নামাজে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড., মো. আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জ ডি আই জি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেকেই অংশ নেন।