ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আক্রমণ থামেনি এখনও : তুচ্ছ ঘটনায় একজনকে পিটিয়ে জখম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মার্চ ২০১৮
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ায় কৃষক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামী পক্ষের উপর
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আসাব উদ্দীন ওরফে আশরাফ হত্যাকান্ডের দেড়মাস অতিবাহিত হলেও এখনও থামেনি আসামী পক্ষের উপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ। পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ নিয়ে গেলেও তা নেওয়া হচ্ছে না বলে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালেও আসামী পক্ষের রবিউল ইসলামে জমির আলু তোলার কাজে বাঁধা দেয়াসহ দিনমজুর ইউসুফ আলী (৭০)কে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গাঁড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার মৃত কাটু মল্লিকের ছেলে ইউসুফকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ৩২ বস্তা আলু স্থানীয়দের জিম্মায় দেয়।
কিছু সময় থেমে আবারো একটি পক্ষ প্রকাশ্যে তান্ডব আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রবিউল ইসলামের মেয়ে নাসরিন কবির রুবী। তিনি বলেন, ‘গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে আমার পিতা রবিউল ইসলামের জমি থেকে আলু তুলে নিয়ে আসার সময় বাধা দেয় প্রতিপক্ষের নাসির, ফজলু, জাহের আলীসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। ওইদিন প্রায় ৩০-৩২ বস্তা আলু মাখালডাঙ্গা রাস্তার পাশে হুমায়নের দোকানের সামনে ফেলে রেখে চলে আসতে হয়। ওইদিন রাতে সদর থানার ওসি ফোন দিয়ে আলু নিয়ে আসতে যেতে বলেন। সবকিছু সমাধান না হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে পরদিন রবিবার (গতকাল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দিনমজুর ইউসুফ আলীকে নিয়ে আলুর বস্তা আলমসাধুতে উঠাতে গেলে নাসির গং তাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু বস্তা ভর্তি অবস্থায়ই সেখানে ফেলে রাখা হয়।


এদিকে আসাব উদ্দীন হত্যাকান্ড মামলার ১৯ নং আসামী জামেলা খাতুন বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে তা মানতে নারাজ একটি পক্ষ। তারা প্রাণ নাশের হুমকীসহ নানা হুমকী ধামকী দিচ্ছে অভিযোগ করে জামেলা খাতুন বলেন, ‘ওই ঘটনার (আসাব উদ্দীন হত্যাকান্ড) পর মামলা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপণে ছিলাম আমি। রবিবার সকালে মেয়ের মেয়ের স্কুলের বই-খাতা নিতে বাড়িতে আসামাত্রই জাহের আলী, ফজলু, আমজেদসহ অন্তত ১৫-২০ জন আমার উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে খবর পেয়ে আমার ভাই পুলিশ সাথে নিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে এলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। জামিন থাকা সত্বেও তাদের অত্যাচারে অনেকটা অতিষ্ট বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আক্রমণ থামেনি এখনও : তুচ্ছ ঘটনায় একজনকে পিটিয়ে জখম

আপলোড টাইম : ১০:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মার্চ ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ায় কৃষক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামী পক্ষের উপর
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে আসাব উদ্দীন ওরফে আশরাফ হত্যাকান্ডের দেড়মাস অতিবাহিত হলেও এখনও থামেনি আসামী পক্ষের উপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ। পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ নিয়ে গেলেও তা নেওয়া হচ্ছে না বলে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালেও আসামী পক্ষের রবিউল ইসলামে জমির আলু তোলার কাজে বাঁধা দেয়াসহ দিনমজুর ইউসুফ আলী (৭০)কে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। গাঁড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার মৃত কাটু মল্লিকের ছেলে ইউসুফকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং ৩২ বস্তা আলু স্থানীয়দের জিম্মায় দেয়।
কিছু সময় থেমে আবারো একটি পক্ষ প্রকাশ্যে তান্ডব আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রবিউল ইসলামের মেয়ে নাসরিন কবির রুবী। তিনি বলেন, ‘গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে আমার পিতা রবিউল ইসলামের জমি থেকে আলু তুলে নিয়ে আসার সময় বাধা দেয় প্রতিপক্ষের নাসির, ফজলু, জাহের আলীসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। ওইদিন প্রায় ৩০-৩২ বস্তা আলু মাখালডাঙ্গা রাস্তার পাশে হুমায়নের দোকানের সামনে ফেলে রেখে চলে আসতে হয়। ওইদিন রাতে সদর থানার ওসি ফোন দিয়ে আলু নিয়ে আসতে যেতে বলেন। সবকিছু সমাধান না হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে পরদিন রবিবার (গতকাল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দিনমজুর ইউসুফ আলীকে নিয়ে আলুর বস্তা আলমসাধুতে উঠাতে গেলে নাসির গং তাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু বস্তা ভর্তি অবস্থায়ই সেখানে ফেলে রাখা হয়।


এদিকে আসাব উদ্দীন হত্যাকান্ড মামলার ১৯ নং আসামী জামেলা খাতুন বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে তা মানতে নারাজ একটি পক্ষ। তারা প্রাণ নাশের হুমকীসহ নানা হুমকী ধামকী দিচ্ছে অভিযোগ করে জামেলা খাতুন বলেন, ‘ওই ঘটনার (আসাব উদ্দীন হত্যাকান্ড) পর মামলা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপণে ছিলাম আমি। রবিবার সকালে মেয়ের মেয়ের স্কুলের বই-খাতা নিতে বাড়িতে আসামাত্রই জাহের আলী, ফজলু, আমজেদসহ অন্তত ১৫-২০ জন আমার উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে খবর পেয়ে আমার ভাই পুলিশ সাথে নিয়ে আমাকে নিয়ে যেতে এলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। জামিন থাকা সত্বেও তাদের অত্যাচারে অনেকটা অতিষ্ট বলে জানান তিনি।