ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

পৌর নির্বাচন পরবর্তী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা শরীফ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার রজব আলী সুপার মার্কেটস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চুয়াডাঙ্গা-১ আসেন বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান বক্তা ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম, সেই আশঙ্কায় সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনেও সরকার পূর্বের নির্বাচনের মতোই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে তাদের মতো করে দখল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেটাই তারা এখন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে গঠন করা হয়েছে, তাদেরকে ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
সভায় প্রধান বক্তা চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মনি বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে শাসক দলের হুমকি ও ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে যারা ভোট কেন্দ্রে এসে আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেকে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন, কিন্তু তাঁদেরকে ভোট দিতে বাধা প্রদান করা হয়েছে। আমি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ আমরাই জয়ী হতাম।’
জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ হাসান পল্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সাদিদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইনতাজ আলী, সাবেক সহসভাপতি কুদ্দুস মহলদার, সাবেক সহসভাপতি হাফিজুল রহমান মুক্ত, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল গনি, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান লিপটন, সদর থানা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক তরিকুল আলম জোয়ার্দ্দার বিলু, জেলা যুবদলের অর্থ সম্পাদক মো. মমিনুল ইসলাম মমিন, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক জাহিন, সুমন ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর যুবদল নেতা মহলদার ইমরান রিণ্টু, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুর আব্বাস, ২ নম্বর কলম উদ্দিন, ৩ নম্বর জাহিদুল ইসলাম নাণ্টু, ৪ নম্বর আক্তারুজ্জামান, ৫ নম্বর বিল্লাহ হোসেন, ৬ নম্বর আজম, ৭ নম্বর বজলুর রহমান বজলু, ৮ নম্বর মিলন উদ্দিন, ৯ নম্বর ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি শামসুল হক ঝণ্টু, আব্দুল হান্নান, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুল রশিদ, ইমন, তুহিন ইসলাম, সানোয়ার, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি এম এইস মোস্তাফা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, রফিকুল ইসলাম রফিক, জমির, সহিদসহ ৯টি ওয়ার্ডের বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না

আপলোড টাইম : ১০:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

পৌর নির্বাচন পরবর্তী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা শরীফ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার রজব আলী সুপার মার্কেটস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চুয়াডাঙ্গা-১ আসেন বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রধান বক্তা ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম, সেই আশঙ্কায় সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনেও সরকার পূর্বের নির্বাচনের মতোই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে ব্যবহার করে, নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে তাদের মতো করে দখল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সেটাই তারা এখন করতে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে গঠন করা হয়েছে, তাদেরকে ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
সভায় প্রধান বক্তা চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মনি বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে শাসক দলের হুমকি ও ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে যারা ভোট কেন্দ্রে এসে আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেকে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন, কিন্তু তাঁদেরকে ভোট দিতে বাধা প্রদান করা হয়েছে। আমি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ আমরাই জয়ী হতাম।’
জেলা জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ হাসান পল্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সাদিদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইনতাজ আলী, সাবেক সহসভাপতি কুদ্দুস মহলদার, সাবেক সহসভাপতি হাফিজুল রহমান মুক্ত, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল গনি, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান লিপটন, সদর থানা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক তরিকুল আলম জোয়ার্দ্দার বিলু, জেলা যুবদলের অর্থ সম্পাদক মো. মমিনুল ইসলাম মমিন, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক জাহিন, সুমন ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর যুবদল নেতা মহলদার ইমরান রিণ্টু, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুর আব্বাস, ২ নম্বর কলম উদ্দিন, ৩ নম্বর জাহিদুল ইসলাম নাণ্টু, ৪ নম্বর আক্তারুজ্জামান, ৫ নম্বর বিল্লাহ হোসেন, ৬ নম্বর আজম, ৭ নম্বর বজলুর রহমান বজলু, ৮ নম্বর মিলন উদ্দিন, ৯ নম্বর ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি শামসুল হক ঝণ্টু, আব্দুল হান্নান, ইলিয়াস হোসেন, আব্দুল রশিদ, ইমন, তুহিন ইসলাম, সানোয়ার, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি এম এইস মোস্তাফা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, রফিকুল ইসলাম রফিক, জমির, সহিদসহ ৯টি ওয়ার্ডের বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।