ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষী সাড়ে ৬ লাখ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকে নির্বাচন-পূর্ব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিন এই চার দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছিল। এবার গতবারের তুলনায় বেশি সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা হতে পারে।
অনুষ্ঠেয় আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এবার ভোটের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে সাড়ে ছয় লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। শুধু ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবে ৮০ হাজার ১৬৬ জন পুলিশ। আনসার-ভিডিপির নারী-পুরুষ সদস্য থাকবেন চার লাখ ৭০ হাজার। গ্রামপুলিশ থাকবে ৪০ হাজার। এর বাইরে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, কোস্ট গার্ড মিলে মোবাইল টিম ও স্ট্্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে। তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে ঢুকতে পারবে না। তবে রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং অফিসাররা চাইলে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমের সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন। এ ছাড়া ভোটের আগে-পরে ১০ দিন সেনাবাহিনীর আলাদা ফোর্স মাঠে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এ বিষয় চূড়ান্ত হবে আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। জানা গেছে, ওই দিনই সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শেষ হচ্ছে।ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ একজন (অস্ত্রসহ), আনসার একজন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ), আনসার সদস্য-নারী চারজন, পুরুষ ছয়জন, গ্রাম পুলিশ একজন মোট ১৪ জন থাকবে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে থাকবে পুলিশ দুজন (অস্ত্রসহ), আনসার একজন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ), আনসার সদস্য-নারী চারজন, পুরুষ পাঁচজন, গ্রামপুলিশ একজন-মোট ১৪ জন থাকবে।পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।আগামী ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ সংসদীয় আসনে সব মিলিয়ে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তাঁরা ভোটের পরও দুই দিনসহ সব মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবেন। এ সময় তাঁরা নির্বাচনী অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচার করবেন।সূত্র মতে, ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন-মোট চার দিন মাঠে থাকবেন। আর আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত।ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান করবেন। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তারা সহায়তা দেবে। রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং অফিসার না চাইলে তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে যাবে না।সূত্র মতে, ভোটারদের যাতায়াতের পথ নির্বিঘœ রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলের নির্দেশনা দেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রে ফল প্রকাশের পর তা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্গম এলাকার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের যাতায়াতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হবে। ভোটের দিন যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। একাদশ নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষী সাড়ে ৬ লাখ

আপলোড টাইম : ১১:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগামী ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকে নির্বাচন-পূর্ব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিন এই চার দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছিল। এবার গতবারের তুলনায় বেশি সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখা হতে পারে।
অনুষ্ঠেয় আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এবার ভোটের দায়িত্বে রাখা হচ্ছে সাড়ে ছয় লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। শুধু ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবে ৮০ হাজার ১৬৬ জন পুলিশ। আনসার-ভিডিপির নারী-পুরুষ সদস্য থাকবেন চার লাখ ৭০ হাজার। গ্রামপুলিশ থাকবে ৪০ হাজার। এর বাইরে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, কোস্ট গার্ড মিলে মোবাইল টিম ও স্ট্্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে। তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে ঢুকতে পারবে না। তবে রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং অফিসাররা চাইলে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিমের সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবেন। এ ছাড়া ভোটের আগে-পরে ১০ দিন সেনাবাহিনীর আলাদা ফোর্স মাঠে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এ বিষয় চূড়ান্ত হবে আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। জানা গেছে, ওই দিনই সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া শেষ হচ্ছে।ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ একজন (অস্ত্রসহ), আনসার একজন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ), আনসার সদস্য-নারী চারজন, পুরুষ ছয়জন, গ্রাম পুলিশ একজন মোট ১৪ জন থাকবে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে থাকবে পুলিশ দুজন (অস্ত্রসহ), আনসার একজন পিসি (অস্ত্রসহ), আনসার একজন এপিসি (অস্ত্র/লাঠিসহ), আনসার সদস্য-নারী চারজন, পুরুষ পাঁচজন, গ্রামপুলিশ একজন-মোট ১৪ জন থাকবে।পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।আগামী ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ সংসদীয় আসনে সব মিলিয়ে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তাঁরা ভোটের পরও দুই দিনসহ সব মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবেন। এ সময় তাঁরা নির্বাচনী অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচার করবেন।সূত্র মতে, ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন-মোট চার দিন মাঠে থাকবেন। আর আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত।ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান করবেন। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তারা সহায়তা দেবে। রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং অফিসার না চাইলে তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটগণনা কক্ষে যাবে না।সূত্র মতে, ভোটারদের যাতায়াতের পথ নির্বিঘœ রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলোকে নিবিড় টহলের নির্দেশনা দেওয়া হবে। ভোটকেন্দ্রে ফল প্রকাশের পর তা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে নিরাপদে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্গম এলাকার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের যাতায়াতে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হবে। ভোটের দিন যান চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। একাদশ নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।