ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অস্ত্রের কোপে দুই গরু ব্যবসায়ী জখম, নগদ টাকা লুট!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় পানবরজের শলুই দিয়ে পথরোধ করে ডাকাত দলের তাণ্ডব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালার গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের অস্ত্রের কোপে আহত হয়েছেন দুই গরুর ব্যবসায়ী। আহতরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গোয়ালবাড়ি গ্রামের মৃত ইউনুস মণ্ডলের ছেলে নাসির উদ্দীন ও রোয়াকুলি গ্রামের মৃত মওলা বক্সের ছেলে আব্দুর রহিম। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা যায়, গতকাল ডুগডুগির হাট থেকে গরু বেচা-কেনা শেষ করে আলমসাধুযোগে বাড়ি ফিরছিলেন ১১ জন গরুর ব্যবসায়ী। পথের মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় নেমে যান ৯ ব্যবসায়ী। বাকি ২ জন ব্যবসায়ী ও ২টি গরু নিয়ে আলমসাধুর চালক আহাদ আলী গোয়ালবাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাঁরা মুন্সিগঞ্জ গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি পৌঁছালে রাস্তার ওপর পানের বরজে ব্যবহৃত শলুই দিয়ে পথ আটকানো দেখে চালক আলমসাধু থামালে ৭ জনের অধিক সদস্যের একটি ডাকাতদল ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন দুই গরুর ব্যবসায়ী, ছিনিয়ে নেওয়া হয় গরু বিক্রির মোট ২ লাখ ২২ হাজার টাকা। এ ছাড়া আলমসাধু চালকের কাছ থেকেও ৫ শ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় আহতদের চিৎকারে ছুটে আসে গ্রামবাসী। তবে ততক্ষণে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতালের অর্থপেডিক কনসালট্যান্ট ডা. মিলনুজ্জামান জোয়ার্দ্দার তাঁদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।
আহত আব্দুর রহিম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা মোট ১১ জন গরু বিক্রি করে এবং কয়েকটি গরু কিনে ডুগডুগির হাট থেকে ফিরছিলাম। পথের মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছালে ৯ জন তাঁদের গরু নিয়ে নেমে যায়। পরে আলমসাধু চালকসহ আমরা তিনজন ফিরছিলাম। এরপর গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি পৌঁছালে ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত ধারালো দা নিয়ে আমাদের আক্রমণ করে। এ সময় আমাদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মিলনুজ্জামান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আহতদের দুজনেরই ডান হাত গুরুতর জখম হয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে ছোট-খাটো আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ‘জেহালার ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের হাতে দুই গরুর ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডাকাত দলকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অস্ত্রের কোপে দুই গরু ব্যবসায়ী জখম, নগদ টাকা লুট!

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০২০

আলমডাঙ্গায় পানবরজের শলুই দিয়ে পথরোধ করে ডাকাত দলের তাণ্ডব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালার গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের অস্ত্রের কোপে আহত হয়েছেন দুই গরুর ব্যবসায়ী। আহতরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গোয়ালবাড়ি গ্রামের মৃত ইউনুস মণ্ডলের ছেলে নাসির উদ্দীন ও রোয়াকুলি গ্রামের মৃত মওলা বক্সের ছেলে আব্দুর রহিম। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা যায়, গতকাল ডুগডুগির হাট থেকে গরু বেচা-কেনা শেষ করে আলমসাধুযোগে বাড়ি ফিরছিলেন ১১ জন গরুর ব্যবসায়ী। পথের মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় নেমে যান ৯ ব্যবসায়ী। বাকি ২ জন ব্যবসায়ী ও ২টি গরু নিয়ে আলমসাধুর চালক আহাদ আলী গোয়ালবাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাঁরা মুন্সিগঞ্জ গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি পৌঁছালে রাস্তার ওপর পানের বরজে ব্যবহৃত শলুই দিয়ে পথ আটকানো দেখে চালক আলমসাধু থামালে ৭ জনের অধিক সদস্যের একটি ডাকাতদল ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন দুই গরুর ব্যবসায়ী, ছিনিয়ে নেওয়া হয় গরু বিক্রির মোট ২ লাখ ২২ হাজার টাকা। এ ছাড়া আলমসাধু চালকের কাছ থেকেও ৫ শ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় আহতদের চিৎকারে ছুটে আসে গ্রামবাসী। তবে ততক্ষণে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতালের অর্থপেডিক কনসালট্যান্ট ডা. মিলনুজ্জামান জোয়ার্দ্দার তাঁদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।
আহত আব্দুর রহিম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা মোট ১১ জন গরু বিক্রি করে এবং কয়েকটি গরু কিনে ডুগডুগির হাট থেকে ফিরছিলাম। পথের মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছালে ৯ জন তাঁদের গরু নিয়ে নেমে যায়। পরে আলমসাধু চালকসহ আমরা তিনজন ফিরছিলাম। এরপর গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি পৌঁছালে ৭ থেকে ৮ জন ডাকাত ধারালো দা নিয়ে আমাদের আক্রমণ করে। এ সময় আমাদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. মিলনুজ্জামান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আহতদের দুজনেরই ডান হাত গুরুতর জখম হয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে ছোট-খাটো আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ‘জেহালার ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি ও কেষ্টপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের হাতে দুই গরুর ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ডাকাত দলকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’