ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অসহায় মানুষের প্রতি ইসলামের ভালোবাসা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: প্রিয়নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘পুরো মুসলিম উম্মাহ একটি শরীরের মতো। শরীরের কোনো অঙ্গে আঘাত লাগলে যেমন সারা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়, তেমনই বিশ্ব মুসলিমের কারো গায়ে আঘাত লাগলে সারা বিশ্বের মুসলমানদের গায়ে আঘাত লাগবে।’ বিশ্বের মুসলমানদের কেউ কোথাও কষ্ট পেলে, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হলে, বিশ্বের অন্য মুসলমানদের ওই কষ্ট অনুভব করা, তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ইমানি দায়িত্ব। কোনো মুসলমানের ব্যথায় কাতর না হওয়া, মনে কষ্ট অনুভব না করা দুর্বল ইমানের পরিচায়ক। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই’। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। মুসলমান ভাইয়ের প্রতি ওই দায়িত্ব-কর্তব্য প্রতিপালনের বিষয়টিই রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফে উল্লেখ করেছেন। শুধু মুসলমান নয়, বন্যাকবলিত যে কোনো মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা, শীতার্ত মানুষের জন্য শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামর্থ্যবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। অন্যের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করা, অন্যের দুঃখ-দুর্দশা মোচনে প্রতিবেশীর ঝাঁপিয়ে পড়াই ইসলামের শাশ্বত হুকুম এবং প্রিয়নবী (সা.)-এর নির্দেশনা। মানবতার নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজে পেট পুরে খায়, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার কষ্টে ভোগে ওই সচ্ছল ব্যক্তি আমার উম্মতভুক্ত নয়।’ আল্লাহ তায়ালা সূরা আদ দোহায় স্পষ্টভাবে সাহায্যপ্রার্থী দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন, ‘তোমরা অভাবী দরিদ্র বিপদগ্রস্ত সাহায্যপ্রার্থী মানুষের বিপদে দুঃসময়ে ‘না’ বলো না’। একটি হাদিসে আছে, একদিন এক সাহাবি একটি পাখির বাসা থেকে পাখির ছানা পেড়েছিলেন এবং ছানাটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়েছিলেন। আর মা-পাখিটিও সাহাবির সঙ্গে সঙ্গে এসেছিল এবং ডাকছিল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বুঝতে পেরেছিলেন এবং ছানা-পাখিটিকে নীড়ে রেখে আসতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্য একটি হাদিসে তো এমনো আছে যে, একজন গুনাহগার নারী একটি কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়েছিলেন আর একজন নেককার নারী শুধু একটি বিড়ালকে বিনা কারণে কষ্ট দেয়ায় তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম ওয়াজিব করে দিয়েছিলেন। এর দ্বারা বোঝা যায়, পশু-পাখির প্রতি ইসলামের এমন মায়া ও ভালোবাসা থাকলে, সৃষ্টির সেরা মানুষের প্রতি ইসলামের কেমন মায়া ও ভালোবাসা রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অসহায় মানুষের প্রতি ইসলামের ভালোবাসা

আপলোড টাইম : ১০:০৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: প্রিয়নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘পুরো মুসলিম উম্মাহ একটি শরীরের মতো। শরীরের কোনো অঙ্গে আঘাত লাগলে যেমন সারা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়, তেমনই বিশ্ব মুসলিমের কারো গায়ে আঘাত লাগলে সারা বিশ্বের মুসলমানদের গায়ে আঘাত লাগবে।’ বিশ্বের মুসলমানদের কেউ কোথাও কষ্ট পেলে, জুলুম-নির্যাতনের শিকার হলে, বিশ্বের অন্য মুসলমানদের ওই কষ্ট অনুভব করা, তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ইমানি দায়িত্ব। কোনো মুসলমানের ব্যথায় কাতর না হওয়া, মনে কষ্ট অনুভব না করা দুর্বল ইমানের পরিচায়ক। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই’। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। মুসলমান ভাইয়ের প্রতি ওই দায়িত্ব-কর্তব্য প্রতিপালনের বিষয়টিই রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফে উল্লেখ করেছেন। শুধু মুসলমান নয়, বন্যাকবলিত যে কোনো মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা, শীতার্ত মানুষের জন্য শীতের কাপড়ের ব্যবস্থা করা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামর্থ্যবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। অন্যের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করা, অন্যের দুঃখ-দুর্দশা মোচনে প্রতিবেশীর ঝাঁপিয়ে পড়াই ইসলামের শাশ্বত হুকুম এবং প্রিয়নবী (সা.)-এর নির্দেশনা। মানবতার নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজে পেট পুরে খায়, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার কষ্টে ভোগে ওই সচ্ছল ব্যক্তি আমার উম্মতভুক্ত নয়।’ আল্লাহ তায়ালা সূরা আদ দোহায় স্পষ্টভাবে সাহায্যপ্রার্থী দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন, ‘তোমরা অভাবী দরিদ্র বিপদগ্রস্ত সাহায্যপ্রার্থী মানুষের বিপদে দুঃসময়ে ‘না’ বলো না’। একটি হাদিসে আছে, একদিন এক সাহাবি একটি পাখির বাসা থেকে পাখির ছানা পেড়েছিলেন এবং ছানাটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়েছিলেন। আর মা-পাখিটিও সাহাবির সঙ্গে সঙ্গে এসেছিল এবং ডাকছিল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বুঝতে পেরেছিলেন এবং ছানা-পাখিটিকে নীড়ে রেখে আসতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অন্য একটি হাদিসে তো এমনো আছে যে, একজন গুনাহগার নারী একটি কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়েছিলেন আর একজন নেককার নারী শুধু একটি বিড়ালকে বিনা কারণে কষ্ট দেয়ায় তার জন্য আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম ওয়াজিব করে দিয়েছিলেন। এর দ্বারা বোঝা যায়, পশু-পাখির প্রতি ইসলামের এমন মায়া ও ভালোবাসা থাকলে, সৃষ্টির সেরা মানুষের প্রতি ইসলামের কেমন মায়া ও ভালোবাসা রয়েছে।