ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অর্ধশত আসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চায় জামায়াত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী অর্ধশতাধিক আসন চাচ্ছে। তা ছাড়া দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নয়, বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জামায়াত। জোটের আসন বণ্টন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিজস্ব কৌশল রয়েছে। তাদের নিবন্ধন বাতিল বলে তারা নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দল তো আর নিষিদ্ধ করেনি। স্বাভাবিকভাবেই তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে বলে মনে হচ্ছে। মোহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট হচ্ছে নির্বাচনী। এ পরিস্থিতিতে তাদের কত আসনে ছাড় দেব, সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে।
জামায়াতের বিষয়াদি দেখভাল করেন বিএনপির এমন এক নেতা জানান, এ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের নির্দেশে জামায়াতের কাছে তাদের প্রার্থী তালিকা চাওয়া হয়েছে। আসন নির্দিষ্ট করে তালিকা এখনো বিএনপির হাতে পৌঁছায়নি। তবে মৌখিকভাবে তারা জানিয়েছে ৬০টির বেশি আসনে তাদের প্রার্থী যোগ্য ও ভালো অবস্থানে আছে। বিএনপির ওই নেতা জানান, জামায়াতের পক্ষ থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে যে কোনো কোনো আসনে বিএনপি ছাড় দেবে বলে প্রস্তুতি রয়েছে, সেই তালিকা তাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলেছে। এতে তাদের (জামায়াত) নেতাদের আসন চূড়ান্ত করতে সুবিধা হবে। তবে জামায়াতকে এখনো তালিকা হস্তান্তর না করলেও বিএনপি বলছে, ২০টির বেশি আসনে জামায়াতকে ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না। যদিও ২০০৮ সালে জামায়াতকে ৩৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে দলটির কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জোটের ভেতরে থেকেই নির্বাচন করব। সে ক্ষেত্রে প্রতীক থাকুক বা না থাকুক। এক প্রশ্নের জবাবে আবদুস সামাদ বলেন, ‘আমরা কতগুলো আসন চাই, সেটিও ওই নির্বাচন বিভাগ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানিয়ে দেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়। ফলে জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারছে না। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য জামায়াতের আপিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সর্বোচ্চ আদালত আরো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করতে না দিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। কেননা দাঁড়িপাল্লা ন্যায়বিচারের প্রতীকরূপে সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা বাদ দিয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে আইনি লড়াইয়ে জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে কি না তা অনিশ্চিত। প্রতীক ফিরে পাওয়া আরো অনিশ্চিত। জোটগতভাবে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে প্রথমে ৩০টি আসনের মধ্যে ১৭টি এবং দ্বিতীয়বার নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৯টির মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জয় পেয়েছিল জামায়াত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অর্ধশত আসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী চায় জামায়াত

আপলোড টাইম : ০২:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী অর্ধশতাধিক আসন চাচ্ছে। তা ছাড়া দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নয়, বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জামায়াত। জোটের আসন বণ্টন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিজস্ব কৌশল রয়েছে। তাদের নিবন্ধন বাতিল বলে তারা নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দল তো আর নিষিদ্ধ করেনি। স্বাভাবিকভাবেই তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে বলে মনে হচ্ছে। মোহাম্মদ শাহজাহান আরো বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট হচ্ছে নির্বাচনী। এ পরিস্থিতিতে তাদের কত আসনে ছাড় দেব, সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে।
জামায়াতের বিষয়াদি দেখভাল করেন বিএনপির এমন এক নেতা জানান, এ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের নির্দেশে জামায়াতের কাছে তাদের প্রার্থী তালিকা চাওয়া হয়েছে। আসন নির্দিষ্ট করে তালিকা এখনো বিএনপির হাতে পৌঁছায়নি। তবে মৌখিকভাবে তারা জানিয়েছে ৬০টির বেশি আসনে তাদের প্রার্থী যোগ্য ও ভালো অবস্থানে আছে। বিএনপির ওই নেতা জানান, জামায়াতের পক্ষ থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে যে কোনো কোনো আসনে বিএনপি ছাড় দেবে বলে প্রস্তুতি রয়েছে, সেই তালিকা তাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলেছে। এতে তাদের (জামায়াত) নেতাদের আসন চূড়ান্ত করতে সুবিধা হবে। তবে জামায়াতকে এখনো তালিকা হস্তান্তর না করলেও বিএনপি বলছে, ২০টির বেশি আসনে জামায়াতকে ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না। যদিও ২০০৮ সালে জামায়াতকে ৩৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে দলটির কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুস সামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জোটের ভেতরে থেকেই নির্বাচন করব। সে ক্ষেত্রে প্রতীক থাকুক বা না থাকুক। এক প্রশ্নের জবাবে আবদুস সামাদ বলেন, ‘আমরা কতগুলো আসন চাই, সেটিও ওই নির্বাচন বিভাগ বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানিয়ে দেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়। ফলে জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে পারছে না। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য জামায়াতের আপিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সর্বোচ্চ আদালত আরো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করতে না দিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। কেননা দাঁড়িপাল্লা ন্যায়বিচারের প্রতীকরূপে সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা বাদ দিয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে আইনি লড়াইয়ে জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে কি না তা অনিশ্চিত। প্রতীক ফিরে পাওয়া আরো অনিশ্চিত। জোটগতভাবে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে প্রথমে ৩০টি আসনের মধ্যে ১৭টি এবং দ্বিতীয়বার নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৯টির মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জয় পেয়েছিল জামায়াত।