ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চাই বৈশ্বিক রোডম্যাপ: প্রধানমন্ত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি-পরবর্তী অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একটি বৈশ্বিক রূপরেখা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারি-পরবর্তী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তিনি। খবর বাসস শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন একটি সুসমন্বিত রোডম্যাপ। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি ও আদ্দিস আবাবা এজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে এই রূপরেখা প্রণয়ন করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অনুঘটকের ভূমিকায়ও দেখতে চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই এখন বিপর্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে। বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা অর্থনীতিতে মহামারির ক্ষত মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করোনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভীষণরকম প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৩.২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি, যা আমাদের জিডিপির ৪.০৩ শতাংশের সমান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই মহামারির সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও বক্তব্য দেন- কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস। বৈশ্বিক এই সংকট উত্তরণে ছয়টি সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমত, তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা, অর্থ ছাড় এবং ত্রাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। উন্নত দেশগুলোকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানান তিনি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে দেশগুলোকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তার পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর রেমিট্যান্স প্রবাহ গতিশীল রাখার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের তাগিদ দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চাই বৈশ্বিক রোডম্যাপ: প্রধানমন্ত্রী

আপলোড টাইম : ০৯:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারি-পরবর্তী অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একটি বৈশ্বিক রূপরেখা প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারি-পরবর্তী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তিনি। খবর বাসস শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন প্রয়োজন একটি সুসমন্বিত রোডম্যাপ। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা, প্যারিস চুক্তি ও আদ্দিস আবাবা এজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে এই রূপরেখা প্রণয়ন করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অনুঘটকের ভূমিকায়ও দেখতে চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই এখন বিপর্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে। বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা অর্থনীতিতে মহামারির ক্ষত মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করোনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভীষণরকম প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৩.২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি, যা আমাদের জিডিপির ৪.০৩ শতাংশের সমান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই মহামারির সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ সভায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও বক্তব্য দেন- কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস। বৈশ্বিক এই সংকট উত্তরণে ছয়টি সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমত, তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা, অর্থ ছাড় এবং ত্রাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। উন্নত দেশগুলোকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানান তিনি। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে দেশগুলোকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তার পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর রেমিট্যান্স প্রবাহ গতিশীল রাখার কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের তাগিদ দেন।