ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অভিযুক্ত লাল্টুকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের কিশোর হাফেজের ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বলাৎকারের স্বীকার কিশোর হাফেজের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিশোর হাফেজকে বলাৎকার করায় বহুল আলোচিত হাফিজুর ইসলাম লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের। এলাকার সাধারন জনগন ফুসে উঠেছে তাকে গণোধোলাই দেওয়ার জন্য। দৌলৎদিয়াড়সহ চুয়াডাঙ্গা পৌর সহরের সর্বত্র এ ঘটনা টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় সর্দ্দারপাড়ার ১২ বছর বয়সী এক কিশোর হাফেজকে বলাৎকার করায় লাল্টুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন সরকার জানান, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযানা অব্যাহত রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাল্টু আতœগোপনে আছে। তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানায়, তার অতীত কুকর্ম, হাফিজুর ইসলাম লাল্টু জেলা শহরে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টু নামে পরিচিত। নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় বিশিষ্ট নেতা হিসেবে যাহির করতেও বেশ মুনশিয়ান। লম্পট লাল্টু স্কুলের বাউন্ডারি পার করতে না পারলেও কলেজে যাতায়াত করতো তার কুমতলব নিয়ে। হীনচরিত্র নিয়ে একবার সে কলেজ বাউন্ডারিতে গবর কুড়ানো এক গরিব পাগলির সাথে কুকাম করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। ওই সময় ঘটনাটি জানাজানি হলে বন্ধু মহলের সবাই তাকে লাল্টু ঘুটে নাম দেয়। সেই থেকেই সবাই তাকে ঘুটে লাল্টু নামেই ডাকে। বহু অপকর্মের মূলহোতা হাফিজুল ইসলাম লাল্টুর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আর জনতার হাতে গণপিটুনি নতুন কিছু নয় এমন ঘটনায় একাধিকবার জড়িত হলে এক ছেলেসহ সংসার ছাড়তে বাধ্য হয় তার স্ত্রী। উল্লেখ্য,বলাৎকারের শিকার হাফেজ কিশোরের বড় ভাই রাসেল সময়ের সমীকরণকে জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় গ্রামের সর্দ্দারপাড়া/মাঠপাড়ার আয়ুব আলীর ছেলে বহুল আলোচিত লম্পট হাফিজুর রহমান লাল্টু (৩৮) ওরফে লাল্টু ঘুটে ওরফে গোলে লাল্টু তার ভাই ১২ বছর বয়সী কিশোর হাফেজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেছে। বাড়িতে অনুষ্ঠান চলায় কিবা প্রাণভয়ে বাড়ির কারো কাছে সেদিন আর ঘটনাটি জানায়নি ওই কিশোর হাফেজ। পরদিন সকালে বড় ভাইয়ের কাছে ঘটনাটি জানালে ভিকটিমের পিতা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লম্পট লাল্টু ওরফে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে লম্পট লাল্টুকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হওয়ায় ততক্ষণে আত্মগোপণ করায় লম্পট লাল্টুকে খুজে পায়নি পুলিশ ও এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অভিযুক্ত লাল্টুকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত

আপলোড টাইম : ১০:৫৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ের কিশোর হাফেজের ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বলাৎকারের স্বীকার কিশোর হাফেজের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিশোর হাফেজকে বলাৎকার করায় বহুল আলোচিত হাফিজুর ইসলাম লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের। এলাকার সাধারন জনগন ফুসে উঠেছে তাকে গণোধোলাই দেওয়ার জন্য। দৌলৎদিয়াড়সহ চুয়াডাঙ্গা পৌর সহরের সর্বত্র এ ঘটনা টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় সর্দ্দারপাড়ার ১২ বছর বয়সী এক কিশোর হাফেজকে বলাৎকার করায় লাল্টুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন সরকার জানান, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযানা অব্যাহত রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাল্টু আতœগোপনে আছে। তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানায়, তার অতীত কুকর্ম, হাফিজুর ইসলাম লাল্টু জেলা শহরে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টু নামে পরিচিত। নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় বিশিষ্ট নেতা হিসেবে যাহির করতেও বেশ মুনশিয়ান। লম্পট লাল্টু স্কুলের বাউন্ডারি পার করতে না পারলেও কলেজে যাতায়াত করতো তার কুমতলব নিয়ে। হীনচরিত্র নিয়ে একবার সে কলেজ বাউন্ডারিতে গবর কুড়ানো এক গরিব পাগলির সাথে কুকাম করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। ওই সময় ঘটনাটি জানাজানি হলে বন্ধু মহলের সবাই তাকে লাল্টু ঘুটে নাম দেয়। সেই থেকেই সবাই তাকে ঘুটে লাল্টু নামেই ডাকে। বহু অপকর্মের মূলহোতা হাফিজুল ইসলাম লাল্টুর বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আর জনতার হাতে গণপিটুনি নতুন কিছু নয় এমন ঘটনায় একাধিকবার জড়িত হলে এক ছেলেসহ সংসার ছাড়তে বাধ্য হয় তার স্ত্রী। উল্লেখ্য,বলাৎকারের শিকার হাফেজ কিশোরের বড় ভাই রাসেল সময়ের সমীকরণকে জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলৎদিয়াড় গ্রামের সর্দ্দারপাড়া/মাঠপাড়ার আয়ুব আলীর ছেলে বহুল আলোচিত লম্পট হাফিজুর রহমান লাল্টু (৩৮) ওরফে লাল্টু ঘুটে ওরফে গোলে লাল্টু তার ভাই ১২ বছর বয়সী কিশোর হাফেজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেছে। বাড়িতে অনুষ্ঠান চলায় কিবা প্রাণভয়ে বাড়ির কারো কাছে সেদিন আর ঘটনাটি জানায়নি ওই কিশোর হাফেজ। পরদিন সকালে বড় ভাইয়ের কাছে ঘটনাটি জানালে ভিকটিমের পিতা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লম্পট লাল্টু ওরফে ঘুটে লাল্টু ওরফে গোলে লাল্টুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে লম্পট লাল্টুকে গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হওয়ায় ততক্ষণে আত্মগোপণ করায় লম্পট লাল্টুকে খুজে পায়নি পুলিশ ও এলাকাবাসী।