ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অপারেশন টোয়াইলাইট সমাপ্ত : এখনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭
  • / ৫৩০ বার পড়া হয়েছে

image-11790-1490719705

সিলেটে জঙ্গি আস্তানা’ আতিয়া মহলে টানা ১১১ ঘণ্টার সফল অভিযান
অপারেশন টোয়াইলাইট সমাপ্ত : এখনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ আতিয়া মহলে টানা ১১১ ঘণ্টার অপারেশন টোয়াইলাইট  সফলভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করলো প্যারা-কমান্ডো টিম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন সেনা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনার আলোকে সেনাবাহিনী অপারেশন পরিকল্পনা করে। অপারেশনে মূলত দু’টি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। প্রথমত ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া ও দ্বিতীয়ত জঙ্গিদের নির্মূল করা। অপারেশন টোয়াইলাইট যেকোনো ক্রাইসিস মোকাবেলায় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, ওই ভবনে দু’জনের শরীরে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভবনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেটি এখনো নিরাপদ নয়। সেখানে আরো তল্লাশি চালানো হবে। অভিযানের কারণে ভবনটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। আইএসপিআর সূত্র জানায়, অপারেশনের প্রথম পর্বটি ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কমান্ডোরা তাদের জীবন বাজি রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে অভিনব কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৫ মার্চ ভবন থেকে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২১ জন শিশুসহ মোট ৭৮ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করে। পরে দ্বিতীয় পর্বে ৩ দিন একটানা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৭ মার্চ বিকেলের মধ্যে ৪ জন জঙ্গিকে নির্মুল করা হয়। মূলত গেলো সোমবার অভিযান শেষ হয়। তবে আরো বিশদ তল্লাশি ও নিশ্চিত হবার জন্য মঙ্গলবার ব্যবহার করা হয়। সোমবার দু’টি মৃতদেহ বের করে পুলিশ প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বাকি দু’টি মৃতদেহ সুইসাইডাল ভেস্টসহ থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় ও পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শে ঘটনাস্থলেই এগুলোর বিস্ফোরণ করা হয়।  পরে তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের সহযোগিতা করেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, র‌্যাব, পিবিআই ও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। গেলো বৃহস্পতিবার রাতে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মাইকে ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলে তারা। তবে জঙ্গিরা তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর জঙ্গি দমনের জন্য শুক্রবার ঢাকা থেকে সিলেটে হাজির হয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট টিম। আর শনিবার সকালে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো টিম।  ওই দিন অভিযানকালে সন্ধ্যায় দু’দফা বিস্ফোরণে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত এবং ৪৪ জন আহত হন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অপারেশন টোয়াইলাইট সমাপ্ত : এখনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭

image-11790-1490719705

সিলেটে জঙ্গি আস্তানা’ আতিয়া মহলে টানা ১১১ ঘণ্টার সফল অভিযান
অপারেশন টোয়াইলাইট সমাপ্ত : এখনো ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ আতিয়া মহলে টানা ১১১ ঘণ্টার অপারেশন টোয়াইলাইট  সফলভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করলো প্যারা-কমান্ডো টিম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন সেনা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনার আলোকে সেনাবাহিনী অপারেশন পরিকল্পনা করে। অপারেশনে মূলত দু’টি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। প্রথমত ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া ও দ্বিতীয়ত জঙ্গিদের নির্মূল করা। অপারেশন টোয়াইলাইট যেকোনো ক্রাইসিস মোকাবেলায় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি আরো বলেন, ওই ভবনে দু’জনের শরীরে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভবনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেটি এখনো নিরাপদ নয়। সেখানে আরো তল্লাশি চালানো হবে। অভিযানের কারণে ভবনটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। আইএসপিআর সূত্র জানায়, অপারেশনের প্রথম পর্বটি ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কমান্ডোরা তাদের জীবন বাজি রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে অভিনব কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৫ মার্চ ভবন থেকে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২১ জন শিশুসহ মোট ৭৮ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করে। পরে দ্বিতীয় পর্বে ৩ দিন একটানা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৭ মার্চ বিকেলের মধ্যে ৪ জন জঙ্গিকে নির্মুল করা হয়। মূলত গেলো সোমবার অভিযান শেষ হয়। তবে আরো বিশদ তল্লাশি ও নিশ্চিত হবার জন্য মঙ্গলবার ব্যবহার করা হয়। সোমবার দু’টি মৃতদেহ বের করে পুলিশ প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বাকি দু’টি মৃতদেহ সুইসাইডাল ভেস্টসহ থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় ও পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শে ঘটনাস্থলেই এগুলোর বিস্ফোরণ করা হয়।  পরে তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের সহযোগিতা করেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, র‌্যাব, পিবিআই ও পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। গেলো বৃহস্পতিবার রাতে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। মাইকে ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলে তারা। তবে জঙ্গিরা তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর জঙ্গি দমনের জন্য শুক্রবার ঢাকা থেকে সিলেটে হাজির হয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট টিম। আর শনিবার সকালে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো টিম।  ওই দিন অভিযানকালে সন্ধ্যায় দু’দফা বিস্ফোরণে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত এবং ৪৪ জন আহত হন।