ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অপহরণের ৩ বছরেও সন্ধান মেলেনি নজীর বিশ্বাসেরে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: অপহরণের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সন্ধান মেলেনি নজীর উদ্দীন বিশ^াসের। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের কৃষক নজীর উদ্দীন বিশ^াস। তার পরিবারের দাবি গত ১২ই জুন ২০১৫ইং তারিখে বাড়ি হতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝিনাইদহ কোর্টে এ্যাডভোকেট মেডুলের সাথে মামলার আলোচনা করেন। পরে কোর্টের কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তারপর কোর্ট থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। পরের দিন ১৩ জুন ২০১৫ তারিখে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক খোঁজাখুজির পর কোথাও সন্ধান না পেয়ে তার ছোট ছেলে আশরাফুল আলম হরিণাকু-ু থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করে যার নং- ৫১২। একই দিন ১৩ জুন ২০১৫ তারিখ রাতে পরিচয় গোপন করে কোন এক ব্যক্তি ০১৮৩৬৮৬৭৭২৬ নম্বর থেকে নজীর উদ্দীন বিশ^াসের ছোটছেলে আশরাফুল আলমের ০১৯১২৫০৬৯০০ এই নম্বরে ফোন করে বলে তোর পিতা আমাদের হেফাজতে আছে। তাকে জীবিত ফেরত পেতে হলে দু’দিনের মধ্যে প্রথমে ১০ লাখ টাকা পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। তারা আরও হুমকি দিতে থাকে যদি উক্ত দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিস তাহলে তোর পিতাকে জীবিত ফিরে পাবি না এবং তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
নজীর উদ্দীনের ছোটছেলে আশরাফুল আলম জানান, তার বাবা ১২ জনু ২০১৫ তারিখে ঝিনাইদহ কোর্টে যায় তাদের জমাজমি বিয়ষ মামলার জন্য। উকিলের সাথে মামলার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে। পরের দিন ১৩ তারিখ সন্ধ্যায় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দেয় পরিচয় গোপনকারি কোন এক ব্যক্তি। সে বলে আমি যদি তাদের মুক্তিপণের টাকা দিয় তাহলে আমার বাবাকে ফেরত দিবে। আর যদি না দিয় তাহলে আমার বাবাকে মেরে ফেলবে এবং আমাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার সাথে আমার ফোনে কথা বলায়ে দিত অপহরণকারীরা। আমি সাথে সাথে হরিণাকু-ু থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু এ পর্যন্ত আমার বাবাকে ফিরে পায়নি। আর কত বছর হলে পরে আমার বাবাকে ফিরে পাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশ জানায়, প্রথমে এই মামলার তদন্ত হরিণাকু-ু থানা পুলিশের কাছে থাকলেও বর্তমানে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের কাছে। আর ঝিনাইদহ সিআইসি পুলিশ তৎপরতার সাথে মামলাটি তদন্ত করছেন। পুলিশ আরো জানান খুব শিঘ্রই এই অপহরণের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারসহ অপহরণ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অপহরণের ৩ বছরেও সন্ধান মেলেনি নজীর বিশ্বাসেরে

আপলোড টাইম : ০৯:১৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অক্টোবর ২০১৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: অপহরণের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সন্ধান মেলেনি নজীর উদ্দীন বিশ^াসের। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের কৃষক নজীর উদ্দীন বিশ^াস। তার পরিবারের দাবি গত ১২ই জুন ২০১৫ইং তারিখে বাড়ি হতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ঝিনাইদহ কোর্টে এ্যাডভোকেট মেডুলের সাথে মামলার আলোচনা করেন। পরে কোর্টের কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তারপর কোর্ট থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। পরের দিন ১৩ জুন ২০১৫ তারিখে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক খোঁজাখুজির পর কোথাও সন্ধান না পেয়ে তার ছোট ছেলে আশরাফুল আলম হরিণাকু-ু থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করে যার নং- ৫১২। একই দিন ১৩ জুন ২০১৫ তারিখ রাতে পরিচয় গোপন করে কোন এক ব্যক্তি ০১৮৩৬৮৬৭৭২৬ নম্বর থেকে নজীর উদ্দীন বিশ^াসের ছোটছেলে আশরাফুল আলমের ০১৯১২৫০৬৯০০ এই নম্বরে ফোন করে বলে তোর পিতা আমাদের হেফাজতে আছে। তাকে জীবিত ফেরত পেতে হলে দু’দিনের মধ্যে প্রথমে ১০ লাখ টাকা পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। তারা আরও হুমকি দিতে থাকে যদি উক্ত দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিস তাহলে তোর পিতাকে জীবিত ফিরে পাবি না এবং তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
নজীর উদ্দীনের ছোটছেলে আশরাফুল আলম জানান, তার বাবা ১২ জনু ২০১৫ তারিখে ঝিনাইদহ কোর্টে যায় তাদের জমাজমি বিয়ষ মামলার জন্য। উকিলের সাথে মামলার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে। পরের দিন ১৩ তারিখ সন্ধ্যায় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন দেয় পরিচয় গোপনকারি কোন এক ব্যক্তি। সে বলে আমি যদি তাদের মুক্তিপণের টাকা দিয় তাহলে আমার বাবাকে ফেরত দিবে। আর যদি না দিয় তাহলে আমার বাবাকে মেরে ফেলবে এবং আমাকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার সাথে আমার ফোনে কথা বলায়ে দিত অপহরণকারীরা। আমি সাথে সাথে হরিণাকু-ু থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু এ পর্যন্ত আমার বাবাকে ফিরে পায়নি। আর কত বছর হলে পরে আমার বাবাকে ফিরে পাবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশ জানায়, প্রথমে এই মামলার তদন্ত হরিণাকু-ু থানা পুলিশের কাছে থাকলেও বর্তমানে ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের কাছে। আর ঝিনাইদহ সিআইসি পুলিশ তৎপরতার সাথে মামলাটি তদন্ত করছেন। পুলিশ আরো জানান খুব শিঘ্রই এই অপহরণের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারসহ অপহরণ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হবে।