ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অপহরণের ৩০ ঘণ্টা পর যুবক উদ্ধার : আটক ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অপহৃত উজ্জ্বল হোসেন নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের ৩০ ঘণ্টা পর গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার তেরাইল এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উজ্জ্বল হোসেন তেঁতুলবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া মাফিজুর রহমানের ছেলে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয়, বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়াও উজ্জ্বল হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
উজ্জ্বলের পিতা মফিজুর রহমান জানান, ‘গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ির পাশে থেকে উজ্জ্বলকে মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে যায়। সে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও পাওয়া যায়নি। পরে রাত ৯টায় ০১৭০৩-২৪৫১২৬ নম্বর মোবাইল থেকে জনৈক হাফিজ পরিচয় দিয়ে আমার প্রতিবেশী নাজিম উদ্দীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (শেষ দুটি নম্বর ৪৯) আমার সাথে কথা বলে। হাফিজ ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে দাবি করে জানায় তার ছেলে উজ্জ্বলকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে, তা না হলে হত্যার হুমকি দেন। পরে মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলে বিকাশ নম্বর দেন। (বিকাশের শেষ তিন ৪২০ অক্ষর) বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
গাংনী থানার এসআই নুরুল ইসলাম নুর বলেন, বিকাশ নম্বর যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয় ও তাঁর সহযোগী মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়।
মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, ঘটনাটি মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত ঘটনা বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তেঁতুলবাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ মহিউদ্দীন জানান, উজ্জ্বলের মা বিজিবিকে জানিয়েছে কে বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিছে। পরে শুনতে পেয়েছি উজ্জ্বল অপহরণ হওয়ার পর উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, জানতে চাওয়া হলে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামিরুল ইসলাম জামি ঘটনার সাথে জড়িত কে বা কারা কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তার জন্য সন্দেহভাজন স্বর্ণ ও বিকাশ ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তদন্তের খাতিরে এখনই সব বলা যাচ্ছে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অপহরণের ৩০ ঘণ্টা পর যুবক উদ্ধার : আটক ৩

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অপহৃত উজ্জ্বল হোসেন নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের ৩০ ঘণ্টা পর গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার তেরাইল এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উজ্জ্বল হোসেন তেঁতুলবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া মাফিজুর রহমানের ছেলে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয়, বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েত ও মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়াও উজ্জ্বল হোসেনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
উজ্জ্বলের পিতা মফিজুর রহমান জানান, ‘গত বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ির পাশে থেকে উজ্জ্বলকে মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে যায়। সে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও পাওয়া যায়নি। পরে রাত ৯টায় ০১৭০৩-২৪৫১২৬ নম্বর মোবাইল থেকে জনৈক হাফিজ পরিচয় দিয়ে আমার প্রতিবেশী নাজিম উদ্দীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (শেষ দুটি নম্বর ৪৯) আমার সাথে কথা বলে। হাফিজ ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে দাবি করে জানায় তার ছেলে উজ্জ্বলকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে, তা না হলে হত্যার হুমকি দেন। পরে মুক্তিপণ হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে চাইলে বিকাশ নম্বর দেন। (বিকাশের শেষ তিন ৪২০ অক্ষর) বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
গাংনী থানার এসআই নুরুল ইসলাম নুর বলেন, বিকাশ নম্বর যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বিকাশ ব্যবসায়ী থানাপাড়ার সাফায়েতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গাংনী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিনয় ও তাঁর সহযোগী মেহেরপুর সদর উপজেলার ষোলমারী গ্রামের খালেদকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়।
মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, ঘটনাটি মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত ঘটনা বলে প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
তেঁতুলবাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ মহিউদ্দীন জানান, উজ্জ্বলের মা বিজিবিকে জানিয়েছে কে বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিছে। পরে শুনতে পেয়েছি উজ্জ্বল অপহরণ হওয়ার পর উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে, জানতে চাওয়া হলে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামিরুল ইসলাম জামি ঘটনার সাথে জড়িত কে বা কারা কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তার জন্য সন্দেহভাজন স্বর্ণ ও বিকাশ ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তদন্তের খাতিরে এখনই সব বলা যাচ্ছে না।