ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অপহরক জসিমকে গণধোলাই!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯
  • / ২৮৩ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে অপহরণের পাঁচ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার
জীবননগর অফিস:
জীবননগরে অপহরণের পাঁচ দিন পর নবম শ্রেণির এক ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে। এ সময় স্থানীয় জনগণ অপহরণকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জীবননগর থানার পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে। গতকাল সোমবার উপজেলার উথলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পাঁচ দিন আগে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে উথলী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী নিসাকে (১৫) মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন একই উপজেলার বাজদিয়া গ্রামের আনিসউদ্দিনের ছেলে জসিম (২৮)। এ ঘটনার পর মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন।
স্কুলছাত্রী নিসা জানায়, জসিমের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর জসিম বিয়ে করবেন বলে জানালে নিসা তাঁর সঙ্গে চলে যায়। পরবর্তীতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের একটি বাড়িতে আটকে রেখে নিসার বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন জসিম।
এ দিকে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা টাকা দেওয়ার নাম করে জসিম ও নিসাকে গ্রামে আসতে বলেন। জসিম নিসাকে নিয়ে উথলী গ্রামে এলে গ্রামবাসী জসিমকে আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে জীবননগর থানার পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জসিম ইতিপূর্বে চারটি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের পরিবারের নিকট যৌতুকের টাকা দাবি করলে তারা দিতে অপারগতা জানালে ওই চার স্ত্রীকে তিনি তালাক দিয়ে দেন।
জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার দিন আগে উথলী গ্রামের এক স্কুলছাত্রী অপহরণের বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয় জনগণ অপহরণকারী জসিমকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। গতকালই তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অপহরক জসিমকে গণধোলাই!

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

জীবননগরে অপহরণের পাঁচ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার
জীবননগর অফিস:
জীবননগরে অপহরণের পাঁচ দিন পর নবম শ্রেণির এক ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে। এ সময় স্থানীয় জনগণ অপহরণকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে জীবননগর থানার পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে। গতকাল সোমবার উপজেলার উথলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পাঁচ দিন আগে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে উথলী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী নিসাকে (১৫) মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন একই উপজেলার বাজদিয়া গ্রামের আনিসউদ্দিনের ছেলে জসিম (২৮)। এ ঘটনার পর মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন।
স্কুলছাত্রী নিসা জানায়, জসিমের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর জসিম বিয়ে করবেন বলে জানালে নিসা তাঁর সঙ্গে চলে যায়। পরবর্তীতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের একটি বাড়িতে আটকে রেখে নিসার বাবার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন জসিম।
এ দিকে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা টাকা দেওয়ার নাম করে জসিম ও নিসাকে গ্রামে আসতে বলেন। জসিম নিসাকে নিয়ে উথলী গ্রামে এলে গ্রামবাসী জসিমকে আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে জীবননগর থানার পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জসিম ইতিপূর্বে চারটি বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীদের পরিবারের নিকট যৌতুকের টাকা দাবি করলে তারা দিতে অপারগতা জানালে ওই চার স্ত্রীকে তিনি তালাক দিয়ে দেন।
জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার দিন আগে উথলী গ্রামের এক স্কুলছাত্রী অপহরণের বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয় জনগণ অপহরণকারী জসিমকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁকে আটক করে। গতকালই তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।