ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অনেক মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
  • / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় জব্দ হওয়া কাবিখার চালের প্রকল্প পরিদর্শনকালে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন
গাংনী অফিস:
গাংনীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় কাবিখা প্রকল্পের ধানখোলা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা এইচবিবিকরণ চলমান কাজ পরিদর্শন করেছেন এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকল্প পিআইসিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় কাবিখার প্রকল্পের পিআইসিদের বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে গাংনীর রাজনীতিতে অনেক মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, গাংনীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রকল্প পিআইসিদের মাধ্যমে ১৩টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। সে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা)-এর অর্থে পিআইসিদের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে চাল গাংনীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম মূল্য দেওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় বেশি দামে বিক্রি করেন প্রকল্প পিআইসিরা। সেই চাল চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি এলাকায় একটি গোডাউনে দেখে প্রশাসন জব্দ করে। পরে জব্দ হওয়া চালের বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের যৌথ কমিটির মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে এবং সরকারি আইন ও নিয়ম দেখে চাল বিক্রি বৈধ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু গাংনীর এক শ্রেণির মানুষ, যারা লুটপাট করে খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছেন। পরে তাঁদের মুখে চুন-কালি পড়লে নিজেদের লেজ নিজেরাই গুটিয়ে নিয়েছেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, যারা আইন না জেনে চাল নিয়ে চালবাজি করেছেন, তাঁরা সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে নানা কথা লিখেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারাই লিপ্ত রয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
চলমান কাজ পরিদর্শনের সময় গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবুল বাশার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জমান, থানা আওয়ামী লীগের নেতা ইটভাটা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুজ্জামান মঙ্গল, কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুবলীগের নেতা মুক্তারুল ইসলামসহ প্রকল্প পিআইসি মজিরুল ইসলাম এবং বশির আহাম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কাদাযুক্ত রাস্তা হেরিং করায় এলাকাবাসী উপকৃত হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী ও উপকারভোগীরা এ কাজের প্রশংসা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

অনেক মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছেন

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় জব্দ হওয়া কাবিখার চালের প্রকল্প পরিদর্শনকালে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন
গাংনী অফিস:
গাংনীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় কাবিখা প্রকল্পের ধানখোলা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি রাস্তা এইচবিবিকরণ চলমান কাজ পরিদর্শন করেছেন এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকল্প পিআইসিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় কাবিখার প্রকল্পের পিআইসিদের বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে গাংনীর রাজনীতিতে অনেক মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছেন বলে মন্তব্য করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, গাংনীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রকল্প পিআইসিদের মাধ্যমে ১৩টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। সে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা)-এর অর্থে পিআইসিদের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে চাল গাংনীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম মূল্য দেওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় বেশি দামে বিক্রি করেন প্রকল্প পিআইসিরা। সেই চাল চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি এলাকায় একটি গোডাউনে দেখে প্রশাসন জব্দ করে। পরে জব্দ হওয়া চালের বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের যৌথ কমিটির মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে এবং সরকারি আইন ও নিয়ম দেখে চাল বিক্রি বৈধ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু গাংনীর এক শ্রেণির মানুষ, যারা লুটপাট করে খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছেন। পরে তাঁদের মুখে চুন-কালি পড়লে নিজেদের লেজ নিজেরাই গুটিয়ে নিয়েছেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, যারা আইন না জেনে চাল নিয়ে চালবাজি করেছেন, তাঁরা সরকার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইনে নানা কথা লিখেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারাই লিপ্ত রয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
চলমান কাজ পরিদর্শনের সময় গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবুল বাশার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জমান, থানা আওয়ামী লীগের নেতা ইটভাটা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুজ্জামান মঙ্গল, কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, যুবলীগের নেতা মুক্তারুল ইসলামসহ প্রকল্প পিআইসি মজিরুল ইসলাম এবং বশির আহাম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কাদাযুক্ত রাস্তা হেরিং করায় এলাকাবাসী উপকৃত হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী ও উপকারভোগীরা এ কাজের প্রশংসা করেন।