ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উথলী ও আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশনের শত কোটি টাকার জমি অবৈধ দখলে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮
  • / ৫৭৩ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার দু’টি রেলওয়ে স্টেশনের শত কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৭৬ একর জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলের মূল্যবান এসব জমি দখল করে তার উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলছেন দোকানপাট ও দালানকোঠা। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট রেল বিভাগ রহস্যজনকভাবে নীরব ভুমিকা পালন করছে।
সংশ্লিষ্ট রেল সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ঊথলী ও আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল বিভাগের প্রায় ৭৬ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে উথলী মৌজার ৩ নং খতিয়ানের ৬৩ একর ৫৪ শতক, সেনেরহুদা মৌজার ৩ নং খতিয়ানে ৩ একর ৫৬ শতক, মৃগমারী মৌজার ২ নং খতিয়ানে ৬ একর ৭৬ শতক ও কুমারীডাঙ্গা মৌজার ২ নং খতিয়ানে ২ একর ১১ শতক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উথলী রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী জানায়, সরকারি কঠোর বিধি-নিষেধ থাকা সত্বেও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্টেশনের আশপাশের রেলওয়ের বিপুল পরিমান এসব জমি অবৈধভাবে দখল করে অর্ধশতেরও বেশি পাকা দোকানঘরসহ প্রায় ৩ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় দালাল চক্র বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী ভূ-সম্পত্তি কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজসে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে নামকাওয়াস্তে লীজ ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে এসব জমি দখল করছে এবং পরবর্তিতে অবৈধ দখলদাররা তাদের দখলীয় রেলওয়ের জমি অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেলওয়ের জমিতে গুদামঘর নির্মাণকারী নাম প্রকশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সম্প্রতি তিনি এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ শতক জমি ৫ লক্ষ টাকায় কিনেছেন। তিনি আরো জানান, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে রেলওয়ের ১ একর জমি রয়েছে।
সংশি¬¬ষ্ট রেল বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকানপাট ও দালানকোঠা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করছে না। এ কারণে দখলদাররা আইনের তোয়াক্কা না করে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে নির্ভয়ে দোকানপাট ও দালানকোঠা তৈরি করার সাহস পাচ্ছে।
এব্যাপারে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) মো. ইউনুস আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রেলওয়ের জমি অবৈধ দখলের সত্যতার প্রমান পেলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এদিকে রেলের জমি বিক্রি করা সহ দখল করে দোকান ঘর নির্মান করায় জনসম্মুখে নানা প্রশ্নের জটবেধেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

উথলী ও আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশনের শত কোটি টাকার জমি অবৈধ দখলে

আপলোড টাইম : ০৯:৪৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মার্চ ২০১৮

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার দু’টি রেলওয়ে স্টেশনের শত কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৭৬ একর জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলের মূল্যবান এসব জমি দখল করে তার উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলছেন দোকানপাট ও দালানকোঠা। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট রেল বিভাগ রহস্যজনকভাবে নীরব ভুমিকা পালন করছে।
সংশ্লিষ্ট রেল সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার ঊথলী ও আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল বিভাগের প্রায় ৭৬ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে উথলী মৌজার ৩ নং খতিয়ানের ৬৩ একর ৫৪ শতক, সেনেরহুদা মৌজার ৩ নং খতিয়ানে ৩ একর ৫৬ শতক, মৃগমারী মৌজার ২ নং খতিয়ানে ৬ একর ৭৬ শতক ও কুমারীডাঙ্গা মৌজার ২ নং খতিয়ানে ২ একর ১১ শতক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উথলী রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মচারী জানায়, সরকারি কঠোর বিধি-নিষেধ থাকা সত্বেও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্টেশনের আশপাশের রেলওয়ের বিপুল পরিমান এসব জমি অবৈধভাবে দখল করে অর্ধশতেরও বেশি পাকা দোকানঘরসহ প্রায় ৩ শতাধিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় দালাল চক্র বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী ভূ-সম্পত্তি কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজসে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে নামকাওয়াস্তে লীজ ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে এসব জমি দখল করছে এবং পরবর্তিতে অবৈধ দখলদাররা তাদের দখলীয় রেলওয়ের জমি অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেলওয়ের জমিতে গুদামঘর নির্মাণকারী নাম প্রকশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সম্প্রতি তিনি এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ শতক জমি ৫ লক্ষ টাকায় কিনেছেন। তিনি আরো জানান, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে রেলওয়ের ১ একর জমি রয়েছে।
সংশি¬¬ষ্ট রেল বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকানপাট ও দালানকোঠা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করছে না। এ কারণে দখলদাররা আইনের তোয়াক্কা না করে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে নির্ভয়ে দোকানপাট ও দালানকোঠা তৈরি করার সাহস পাচ্ছে।
এব্যাপারে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) মো. ইউনুস আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রেলওয়ের জমি অবৈধ দখলের সত্যতার প্রমান পেলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এদিকে রেলের জমি বিক্রি করা সহ দখল করে দোকান ঘর নির্মান করায় জনসম্মুখে নানা প্রশ্নের জটবেধেছে।